নানা জল্পনা-কল্পনার পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তপশিলে ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বিটিভিতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের মাধ্যমে তপশিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ভাষণে সিইসি জানান, সংসদ নির্বাচনের মনোনয়পত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর। আপিল ৬-১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারী ২০২৪ সকাল ৮টা পর্যন্ত।
এ সময় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। এ ছাড়াও সংবিধান ও আইনের আলোকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন তিনি।
এর আগে বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণের দিন ঠিক করতে বৈঠকে বসেছিল কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান এবং ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
গত ৯ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সিইসি প্রথমবারের মতো জানান, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোট হতে পারে।
এ ছাড়াও সূত্র জানায়, গত বছর দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বর্তমান নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনসহ সার্বিক কর্মপরিকল্পনার খসড়া রোডম্যাপ তৈরি করে। সেখানে ২০২৪ সালের ৪ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সম্ভাব্য দিন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। ওই তারিখটি ধরেই ইসির পরবর্তী কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেওয়া হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনাররাও ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট এবং নভেম্বরের প্রথমার্ধে তপশিল হবে বলে নানা সময় বক্তব্য দিয়েছেন। ৪ জানুয়ারি একটি বৃহৎ ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হওয়ায় ভোটের তারিখ এক দিন এগিয়ে ৩ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। প্রায় দেড় বছরে পরিবর্তিত রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ভোটের সেই তারিখ থেকে সরে আসে কমিশন। এসব জল্পনা-কল্পনা শেষে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলো।