বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির পাঁচটি দেশের মধ্যে একটি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাদেশ এখন প্রায় ৩০০ কোটি মানুষের বাজারের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সচ্ছল জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি। জার্মানি ও যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বাজারে পরিণত হবে বাংলাদেশ।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সড়ক-রেলসহ যোগাযোগ খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণ করার জন্য দরকার টেকসই বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা। বাংলাদেশের বিনিয়োগের জন্য সকল খাতই উন্মুক্ত। বাংলাদেশের বিনিয়োগের জন্য সবকিছু সহজতর করা হয়েছে। দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল, ১০৯টি হাইটেক পার্ক করা হয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুবিধা সু-নিশ্চিতকরণের জন্য বাংলাদেশ নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আশা করি, এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আয়োজিত কর্মসূচিসমূহের মধ্যে বাংলাদেশসহ অন্যান্য কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো অমিত সম্ভাবনা সংশ্লিষ্ট সবার নিকট উন্মোচিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিগত ১৫ বছরে আর্থসামাজিক খাতে বাংলাদেশের অভাবনীয় রূপান্তর ঘটেছে। বর্তমান বাংলাদেশ এক পরিবর্তিত বাংলাদেশ। আজকের বাংলাদেশ একটি সাফল্যের গল্পগাথা।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সুচিন্তিত এবং পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকি। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর সকল উন্নয়ন থমকে যায়। বিএনপি-জামায়াতের পাঁচ বছর এবং সামরিক সরকারের পরবর্তী বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণ মন্দার কবলে পড়েছিল।