নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী গড়ে তোলার জন্য আওয়ামী লীগ বড় পদক্ষেপ নেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের এবারের ইশতেহারে জানানো হয়, সরকারের উন্নয়ন ও প্রশাসন কার্যক্রম নারী নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করে প্রণীত হওয়ার ধারা অব্যাহত থাকবে।
এতে বলা হয়, নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা, অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নারী উন্নয়নে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। গ্রামীণ নারীদের সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং শ্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি করা হবে।
ইশতেহারে আওয়ামী লীগ থেকে ক্রমেই বেশিসংখ্যক নারী সাধারণ আসনে নির্বাচিত হচ্ছেন জানিয়ে বলা হয়, আওয়ামী লীগের লক্ষ্য রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়ও কমপক্ষে ৩৩ শতাংশ নারীর অংশীদারত্ব নিশ্চিত করা।
এতে বলা হয়, কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা, কর্মবান্ধব পরিবেশ, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত থাকবে। দুগ্ধপোষ্য শিশুদের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র (ডে-কেয়ার সেন্টার) এবং কর্মজীবী মহিলাদের জন্য ঢাকা ও জেলা সদরে হোস্টেল নির্মাণ কর্মসূচির বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে।
এতে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকার নারী ও শিশুপাচার কঠোর হাতে দমন এবং পাচার রোধে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে, যা অধিকতর সক্রিয় ও কার্যকর করা হবে।
ইশতেহারে বলা হয়, নারী উদ্যোক্তা এবং স্টার্টআপদের জন্য বিশেষ করে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন খাতে আর্থিক সহায়তা, পরামর্শদান এবং সংস্থান নিশ্চিত করা হবে। ই-কমার্সের সঙ্গে সংযুক্ত নারীদের বা নারী মালিকানাধীন ব্যবসার জন্য অনুদান, ঋণ ও বিনিয়োগ উদ্যোগের মাধ্যমে পুঁজির অভিগম্যতা সহজতর করা হবে।
আওয়ামী লীগের ইশতেহারে বলা হয়, দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীর অনুপাত প্রায় সমান এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নারী শিক্ষার্থী ৩৬.৩০ শতাংশ। উচ্চশিক্ষায় নারী শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে নারী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান এবং কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এতে বলা হয়, নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী গড়ে তোলার কাজে ‘জয়িতা ফাউন্ডেশন’ এর কার্যকর ভূমিকা সম্প্রসারিত হবে। জয়িতা ফাউন্ডেশনের আওতায় ঢাকাসহ সকল বিভাগীয় সদরে এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নারীবান্ধব বিপণন অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে।
এতে আরও বলা হয়, নারী নির্যাতন সংশ্লিষ্ট পৃথক আদালতের মামলায় বাদীপক্ষকে সরকারি খরচে আইনি সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থাকে আরো কার্যকর করা হবে।
আওয়ামী লীগের ইশতেহারে বলা হয়, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ কার্যকর করার ব্যাপারে অধিকতর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।