লাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি খুব শিগগিরই হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আজ রোববার (২ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় বাণিজ্যমন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্টদূতও চুক্তি সম্পাদনের অগ্রগতির বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এই চুক্তিকে বাস্তবে রূপ দিতে দুই দেশ ‘ট্রেড নেগোশিয়েসন্স কমিটি’ গঠন করেছে এবং এখন পর্যন্ত তিনটি সভা করেছে। এ ছাড়া আগামী মাসে ইন্দোনেশিয়ায় চতুর্থ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই রাউন্ডে আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মাধ্যমে সম্ভাবনাময় খাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ আরও সম্প্রসারণ এবং ত্বরান্বিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি দুদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে আরও ঘন ঘন যোগাযোগের পরামর্শ দেন। এ ক্ষেত্রে বিশেষ করে আরএমজি, ফার্মাসিউটিক্যালস, চামড়াজাত পণ্যসহ অন্যান্য বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশের অনুমতি দিয়ে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৭৮.৫৭ মিলিয়ন ইউএস ডলারের পণ্য ইন্দোনেশিয়ায় রপ্তানি করে।’ অন্যদিকে, দেশটি থেকে আমদানি ব্যয় ছিল তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। এই বিশাল বাণিজ্য ঘাটতিকে ভারসাম্য পর্যায়ে আনতে আরও বেশি বাংলাদেশি পণ্য ইন্দোনেশিয়ার বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টির বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে দেশটির প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা সহজ করার বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উভয়ের দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, বন্ধুপ্রতীম এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ। দুই দেশেরই পর্যটন খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের মাধ্যমে উভয় দেশের ভ্রমনপিপাসু মানুষ ভ্রমণের সুযোগ পাবে এবং অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী দুই দেশের ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মধ্য সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বাণিজ্য প্রসারে এপেক্স চেম্বারের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষর করার আহ্বান জানালে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত সম্মত হন এবং সহযোগিতার ব্যাপারে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
হেরু হারতান্তো সুবোলো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছ।’ বাংলাদেশে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, বাংলাদেশে পামওয়েল রিফাইনারি স্টেশন স্থাপনের বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ীগণ ইচ্ছুক।