প্রণয় ভার্মার সাক্ষাৎ বিমানমন্ত্রীর সঙ্গে

প্রণয় ভার্মার সাক্ষাৎ বিমানমন্ত্রীর সঙ্গে

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের রাজ্যগুলোকে আকাশ পথে যুক্ত করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে দেশটি। পর্যটনের উন্নয়নের জন্য দুই দেশের মধ্যে আকাশ পথে নতুন নতুন গন্তব্য চালুর বিষয়েও আলোচনা চলছে। পর্যটক বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পর্যটন মেলা আয়োজনেরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা এসব বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন।

বুধবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রীর কার্যালয়ে ওই সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় হয়।

বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে পর্যটন মেলা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে জানিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ফারুক খান বলেন, পর্যটন শিল্পে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা কীভাবে আরও বৃদ্ধি করা যায়, বিশেষ করে ভারত থেকে আরও বেশি পর্যটক কিভাবে বাংলাদেশ আসতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পর্যটকদের জন্য দুই দেশের মধ্যে ভিসা সহজ করার বিষয়েও কথা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, সিভিল এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্পে সহযোগিতার বৃদ্ধির ব্যাপারে ভারতের পক্ষ থেকে আমাদেরকে কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমরা সেগুলো বিবেচনা করবো। এছাড়াও দুই দেশের মধ্যকার আকাশ পথে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা জানান, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে এভিয়েশন এবং পর্যটন খাতের সহযোগিতা দুই দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে। এটি দুই দেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই সহযোগিতা কিভাবে আরও বৃদ্ধি করা যায় ও প্রাতিষ্ঠানিকরণ করা যায় তা নিয়ে আমরা কাজ করবো।

হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনে কর্মরত কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারত ৩৬ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ভবিষ্যতেও এটি চলমান থাকবে। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে অনেক ভারতীয় বিনিয়োগকারী বিনিয়োগে আগ্রহী। আমরা তাদের উৎসাহ ও সহযোগিতা প্রদান করছি। পাশাপাশি পর্যটনের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আকাশ পথে নতুন নতুন গন্তব্য চালুর বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। বিশেষ করে বাংলাদেশের সাথে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের রাজ্যগুলোকে আকাশ পথে যুক্ত করার ব্যাপারে ভারত আগ্রহী।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, গত বছর ১৬ লাখ বাংলাদেশী নাগরিককে ভারতীয় ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। দিন দিন এটির সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশীদের সময়মতো ভিসা দিতে আমরা আমাদের সক্ষমতা বাড়িয়েছি। বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ভারতে অন অ্যারাইভাল ভিসার বিষয়টি ভবিষ্যতে আলোচনা করা হবে।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিমান মন্ত্রী জানান, বিমান বর্তমানে লাভজনক ভাবে চলছে। সীমিত সংখ্যক উড়োজাহাজ ও আরও বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার মধ্যেও যাত্রী সেবা দিয়ে চলছে। নতুন বিমান কেনা নিয়েও চিন্তা ভাবনা চলছে। বিমানের সমস্যাগুলো ইতোমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তা দূর করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে সারা বিশ্বের পর্যটকেরা যাতে সহজেও কম সময়ে ভিসা পায় এবং ক্ষেত্রমতে অন অ্যারাইভাল ভিসা পায় তা নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানান বিমান মন্ত্রী।

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের জন্য নতুন করে ব্যয় বাড়ানোর প্রয়োজন আছে কিনা তা আলোচনা করা হবে। তৃতীয় টার্মিনালে অনেক নতুন নতুন বিষয় যুক্ত হচ্ছে। এ জন্য হয়তো ব্যয় কিছুটা বাড়ানোর প্রয়োজনও হতে পারে।

বিমানবন্দরে প্রবাসী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা কাউন্টার স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

More News...

বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশন নিউজিল্যান্ডে হচ্ছে

বৈশ্বিক ও কৌশলগতভাবে এখন কঠিন সময় যাচ্ছে, বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয় : প্রধান উপদেষ্টা