ক্ষমতার ১৮ মাসের মাথায় পদত্যাগ করলেন মলদোভার পশ্চিমা-পন্থি সরকার। শুক্রবার দেশের আকাশে একাধিক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র উড়তে দেখার পরেই তড়িঘড়ি করে প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
মূল্যবৃদ্ধিসহ একাধিক সঙ্কটের সঙ্গে লড়াই করতে থাকা দেশের দায়িত্বভার আর তার পক্ষে সামলানো সম্ভব নয় বলে ইস্তফার পরে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন নাতালিয়া।
এরআগে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের প্রথম থেকেই ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মলদোভার প্রধানমন্ত্রী নাতালিয়া গাবরিলিতা। দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দোরিন রেচান ডোরিনের নাম প্রস্তাব করেছেন পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী।
আগামী সপ্তাহেই সংসদের অধিবেশন ডেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেচানকে প্রধাননমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেয়া হবে। তিনি খুব দ্রুতই পার্লামেন্টের অনুমোদন পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন সরকার তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেবে বলে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন রেচান। এগুলো হল: আইন-শৃঙখলা, নতুন জীবন ও অর্থনীতি এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা।
রাশিয়ার গ্যাসের ওপর শতভাগ নির্ভরশীল ছিল মলদোভা। ইউক্রেন আগ্রসানের পর রাশিয়া মলদোভায় গ্যাসের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে দেশটিতে আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতি দেখা দেয়। এছাড়া উচ্চ জ্বালানিমূল্যের কারণে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়। -সূত্র: রয়টার্স