দিল্লি হাইকোর্টের তলব বিবিসিকে

দিল্লি হাইকোর্টের তলব বিবিসিকে

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলায় সংবাদমাধ্যমটিকে তলব করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। আজ সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র প্রচার করায় ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (বিবিসি) র বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলায় সংবাদমাধ্যমটিকে তলব করেছে দিল্লি হাইকোর্ট।

সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি শচীন দত্ত এ বিষয়ে বিবিসিকে নোটিশ দিয়েছেন। তথ্যচিত্রটির বিষয়ে বিবিসির ব্যাখ্যাও চেয়েছে আদালত। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে মামলাটির পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

গুজরাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে করা বিবিসির একটি তথ্যচিত্র আলোড়ন সৃষ্টি হয় ভারতে। তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’কে ঘিরে গুজরাটভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ‘জাস্টিস অন ট্রায়াল’ নামের একটি এনজিও মানহানির মামলা দায়ের করেছিল। ওই এনজিও সংস্থাটির অভিযোগ ছিল, ওই ডকুমেন্টারিতে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতা করা হয়েছে।

বেসরকারি এনজিও সংস্থাটির আইনজীবী হরিষ সালভি মনে করেন, বিবিসির ২ পর্বের তথ্যচিত্রে ভারত ও এর বিচার ব্যবস্থাকে হেয় করা হয়েছে।

আদালত বলেছে, বিবিসির তথ্যচিত্রে ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় রাজ্যটির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদির ভূমিকা নিয়ে যা তুলে ধরা হয়েছে তা ভারতের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে। তথ্যচিত্রটি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে তৈরি করা হয়েছে—বাদীর এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিবাদীকে তলব করা হয়েছে।

এর আগে একটি নিম্ন আদালতও এই সংক্রান্ত মামলায় বিবিসি কর্তৃপক্ষকে তলব করেছিল। সেসময় মামলাটি করেছিলেন বিজেপি নেতা বিনয় কুমার সিংহ। আদালতের কাছে তিনি এই ধরনের তথ্যচিত্র প্রদর্শনীতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার আর্জি জানিয়েছিলেন।

২০০২ সালে নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় সে রাজ্যে সংখ্যালঘুদের কেমন অবস্থা ছিল, তা নিয়ে দুই পর্বে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। কিন্তু ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন শীর্ষক তথ্যচিত্রটি বিশেষ তথ্যপ্রযুক্তি আইন প্রয়োগ করে ইউটিউব-সহ যাবতীয় সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।

তারপরই কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। ওই মামলায় কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট তলব করে দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মন্ত্রীরা কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও বিজেপির একাধিক নেতা বিবিসির তীব্র সমালোচনা করে জানান, দেশকে খাটো করার জন্যই মিথ্যা এবং বিকৃত তথ্য পরিবেশন করছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি। সরকারের তরফেও জানানো হয়, বিবিসির ওই তথ্যচিত্র দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার আদর্শকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

More News...

উদ্যোক্তা গ্রুপের সহায়তায় যশোর শীতবস্ত্র বিতরণ

মহান বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছেন, নিউজ ফেয়ার সম্পাদক টি.এ.কে আজাদ।