কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার পৌর সদরের বেথইর গ্রামের কৃষক মল্লিক মিয়া আগাম রিফা জাতের শিম চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন। ফসলি জমিতে শক্ত সুতো ও বাঁশের তৈরি মাচার উপর মেলে ধরেছে শিম গাছের কচি ডগা। কচি ডগার মধ্যে উঁকি দিচ্ছে সাদা ফুল। স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানান অত্র উপজেলার মাটি আগাম সবজি চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় দ্বিগুণ ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে কৃষকরা আগাম শিম চাষে আশার আলো দেখছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকদের জমিতে শিম গাছের ফুল ভরে গেছে আর কিছু দিন পর দেখে মিলবে শিমের। গত জুন মাসে জমিতে শিমের বীজ রোপণ করেন কৃষকরা। শিম গাছ থেকে প্রায় ৫৫ থেকে ৬০ দিন পর গাছ থেকে শিম উত্তোলন করা যায়। রিফা শিম চাষে চারা রোপণ, সেচ দেওয়া, সার প্রয়োগ, নিড়ানি, কীটনাশক ও মাচা তৈরিসহ মোট ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হয়।
কৃষক মল্লিক মিয়া বলেন, আমি ২০ শতক জমিতে রিফা জাতের শিম চাষ করেছি। বর্তমান বাজারে শিমের ভালো দাম চাহিদা রয়েছে। সকল খরচ বাদ দিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা আয় করতে পারবো বলে আমি আশা করছি।
কটিয়াদী ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মঈনুল ইসলাম বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগ প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের আগাম জাতের শিম চাষে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে কৃষকদেরকে নিয়ে কাজ করছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শফিকুল ইসলাম ভূঞা বলেন, শিম শীতকালীন সবজি হলেও আমাদের দেশে আগাম শিমের চাষ করা হচ্ছে। বর্তমানে আগাম শিম চাষ করে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। এমনকি বাজারে আগাম শিমের দামও ভালো। তাই কৃষকরা দিন দিন এই আগাম জাতের শিম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এব্যাপারে আমরা কৃষকদের সব ধরনের সহযোগীতা করছি।