ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘোষিত হজ প্যাকেজকে অমানবিক বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। হজের খরচ কমানোর নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানিতে মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আজকের শুনানিতে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ হজের প্যাকেজ কীভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং হজ প্যাকেজের বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ অবস্থান কি তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদকে এ তথ্য আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। আগামীকাল এ রিটের পরবর্তী শুনানি হবে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট গাজী মো. মহসীন, অ্যাডভোকেট আশরাফ উজ জামান খান, অ্যাডভোকেট আহসান উল্লাহ প্রমুখ।
গত ১২ মার্চ হজের খরচ কমাতে সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়ার আবেদন জানিয়ে রিট করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও আল কোরআন স্টাডি সেন্টার সুপ্রিম কোর্টের কো-অর্ডিনেটর অ্যাডভোকেট আশরাফ-উজ্-জামান এ রিট করেন। রিটে সৌদি আরব ও বাংলদেশ এয়ারলাইন্স বাদেও যেকোনো এয়ারলাইন্সের টিকিটে হজে যাওয়ার অনুমতি দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
চলতি বছর হজে যেতে সরকারিভাবে একটি প্যাকেজ চূড়ান্ত হয়েছে। সরকারিভাবে গত বছর দুটি থাকলেও এবার ঘোষিত একটি প্যাকেজ অনুযায়ী, হজযাত্রায় প্রত্যেক হজযাত্রীর ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা ব্যয় হবে। গত বছরের তুলনায় খরচ সর্বোচ্চ এক লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা বেড়েছে।
খরচ কমিয়ে চার লাখ টাকার মধ্যে পুনর্নির্ধারণ করতে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, চলতি বছর হজের খরচ কমানো কিংবা প্যাকেজ পুনর্বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।