আবারও স্বরূপে হালান্ড, কোয়ার্টারে ম্যানসিটি

আবারও স্বরূপে হালান্ড, কোয়ার্টারে ম্যানসিটি

আবারও নিজ রুপে জ্বলে উঠলেন ‘গোল মেশিন’ নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার আরলিং হালান্ড। ইংলিশ এফএ কাপের পঞ্চম রাউন্ডে লুটন টাউনের জালে গুনে গুনে তিনি একাই ৫ বার বল জড়ালেন। গোল-উন্মাদনায় ইতিহাদকে উপহার দিয়েছেন স্মরণীয় এক রাত। হালান্ডের দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সে লুটন টাউনকে ৬-২ গোলে হারিয়ে এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লিখলো ম্যানসিটি।

গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে লুটন টাউনের ঘরের মাঠে তাদের বিপক্ষে মাঠে নামে ম্যানসিটি। আর্লিং হালান্ড ছাড়াও এই ম্যাচে আরেক গোল করেছেন মাতেও কোভাকিচ। হলান্ডের পাঁচ গোলের চারটিতেই সহায়তা করেছেন কেভিন ডি ব্রুইনা।

কেনিলওর্থ রোডে লুটন টাউনকে দাঁড়াতেই দেয়নি ম্যানসিটি। ম্যাচের শুরু থেকেই গোল উৎসবে মেতে ওঠে সিটিজেনরা। বিশেষ করে আরলিং হালান্ড। ৩য় মিনিটেই গোলের সূচনা করেন তিনি। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই হালান্ড ম্যানসিটির হয়ে নিজের ৮ম হ্যাটট্রিক পূরণ করে ফেলেন। দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে করলেন আরও দুটি গোল।

কিংবদন্তি ফুটবলার জর্জ বেস্টের পর আরলিং হালান্ডই প্রথম ফুটবলার, যিনি এফএ কাপে ৫ গোল করলেন। ১৯৭০ সালে নর্দাম্পটনের বিপক্ষে ম্যানইউর হয়ে একাই ৬ গোল করেছিলেন বেস্ট।

২৩ বছর বয়সী হালান্ডের প্রথম চার গোলেই অবদান ছিল বেলজিয়ামের তারকা ফুটবলার কেভিন ডি ব্রুইনের। তার তৈরি করে দেয়া বলই লুটনের জালে জড়ান নরওয়ের এই তারকা।

২০০৪-০৫ সালের পর ডি ব্রুইন দ্বিতীয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা ফুটবলার, যিনি এফএ কাপে চারটি অ্যাসিস্ট করেছেন। ২০১৯ সালে একই কাজ করেছিলেন ম্যানসিটির জার্মান ফুটবলার ইলকায় গুন্ডোগান।

৩য় মিনিটে প্রথম গোল করার পর ১৮তম মিনিটে দ্বিতীয় এবং ৪০ মিনিটে হাটট্রিক পূরণ করেন হালান্ড। লুটনের হয়ে জর্ডান ক্লার্ক ৪৫তম মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করেন। ম্যাচের ৫২তম মিনিটে ব্যবধান ২-৩ করে ফেলেন জর্ডান ক্লার্কই।

এরপর ৫৫ মিনিটে হালান্ড আরও এক গোল করে ব্যবধান বাড়ান। ৫৮তম মিনিটে করলেন পঞ্চম গোল। মাতেও কোভাসিস ৭২তম মিনিটে গিয়ে আরও একটি গোল করলে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৬-২।

More News...

সাফ জয়ী ফুটবলাররা প্রধান উপদেষ্টার কাছে যা চাইলেন

জয়-মুশফিকের লড়াইয়ে টিকে রইল বাংলাদেশ